বাংলাদেশের নদী ও জলাশয়গুলি বৈচিত্র্যময় মাছের আবাস। এই জলজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে বাঘাইর মাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Bagarius yarrelli), যা স্থানীয়ভাবে ‘বাঘাইর’ নামে পরিচিত। বাঘার গোত্রের এই মাছটি কিছু বছর আগেও বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে এই মাছের ধরা ও বিক্রি করা নিষিদ্ধ। অনেকেই প্রশ্ন করেন, “বাঘাইর মাছ নিষিদ্ধ কেন?” এই প্রশ্নের
বাংলাদেশের জলজ সম্পদের ভান্ডারে অসংখ্য প্রজাতির মাছ রয়েছে। এই বিশাল সম্পদের মধ্যে ‘সিদল মাছ’ বা বৈজ্ঞানিক নামে ‘পানটিয়াস সোফোর’ (Puntius sophore) বাংলাদেশের প্রায় সবকটি জলাশয়ে পাওয়া যায়। সিদল মাছ বাংলাদেশের দেশীয় মাছ হিসেবে পরিচিত এবং এটি কার্প জাতীয় মাছের অন্তর্গত। এই মাছটি দেখতে ছোট হলেও এর পুষ্টিমান, স্বাদ এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর
মাছ বাঙালি খাদ্যাভ্যাসের একটি অপরিহার্য অংশ, যা শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগত মূল্যেও অতুলনীয়। আমাদের দেশের নদী-খাল, পুকুর-দীঘি থেকে শুরু করে সমুদ্রের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, বাঙালির রন্ধনশালায় নিয়মিত অতিথি। কিন্তু কি জানেন, আপনার প্রিয় মাছ শুধু প্রোটিনের উৎসই নয়, এটি আসলে একটি পূর্ণাঙ্গ মাল্টিভিটামিনের ভাণ্ডার? হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন! মাছে রয়েছে এমন সব ভিটামিন, মিনারেল এবং পুষ্টি
পুকুরের পানির গুণমান বজায় রাখা মাছ চাষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। পানির বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক পরিমাপক রয়েছে যার মধ্যে pH একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপক। pH হল একটি স্কেল যা পানির অম্লীয় বা ক্ষারীয় মাত্রা নির্দেশ করে। এটি 0 থেকে 14 পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে 7 হল নিরপেক্ষ, 7 এর নিচে অম্লীয় এবং 7 এর উপরে ক্ষারীয়।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশের মোট জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান প্রায় ৩.৫৭% এবং কৃষি জিডিপিতে এর অবদান ২৫.৩০%। এছাড়া, আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের প্রায় ৬০% আসে মাছ থেকে, যা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার একটি অপরিহার্য অংশ। বাংলাদেশে প্রায় ১৮ মিলিয়ন লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িত, যা মোট
বাংলাদেশের মত কৃষিপ্রধান দেশে পুকুর শুধু মাছ চাষের জন্যই নয়, সেচ, বিনোদন এবং বিভিন্ন পারিবারিক প্রয়োজনেও ব্যবহৃত হয়। একটি পুকুরের সার্বিক সফলতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এর পানির উপযুক্ত গভীরতা। অনেকেই জানেন না যে পুকুরের পানির গভীরতা কেবল এর ধারণক্ষমতাকেই প্রভাবিত করে না, বরং মাছের স্বাস্থ্য, পানির গুণমান, জীববৈচিত্র্য এবং দীর্ঘস্থায়িত্বের ওপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টরে কার্প মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ৫০ শতাংশই আসে বিভিন্ন প্রজাতির কার্প মাছ থেকে। বিশেষত পুকুরে চাষকৃত মাছের মধ্যে কার্প জাতীয় মাছের অবদান সবচেয়ে বেশি। রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, বিগহেড কার্প, ব্ল্যাক কার্প, কমন কার্প ইত্যাদি প্রজাতির কার্প মাছ বাংলাদেশের মৎস্য চাষীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু
আমাদের দেহে রক্ত হল জীবনের অন্যতম মূল উপাদান। আর এই রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিন হল সেই প্রোটিন যা অক্সিজেন পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে তা অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার কারণ হতে পারে, যা শারীরিক দুর্বলতা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার জন্ম দিতে পারে। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার অন্তর্ভুক্ত করে আমরা
বাংলাদেশ, যে দেশটি নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় ও বিস্তৃত জলরাশিতে পরিপূর্ণ, সেখানে মাছ শুধু খাদ্য নয়, সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। “মাছে-ভাতে বাঙালি” – এই প্রবাদবাক্যটি আমাদের জীবনযাত্রার সাথে মাছের গভীর সম্পর্কের প্রমাণ। তবে এই সমৃদ্ধ মৎস্য সম্পদের মূল চাবিকাঠি হলো ‘পোনা মাছ’ – মাছের জীবনচক্রের সেই নাজুক কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক অবস্থা। বর্তমান বাংলাদেশে মৎস্য খাত জাতীয়
বাংলাদেশে মৎস্য চাষ একটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই শিল্পের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে হ্যাচারি সিস্টেমের উপর, যেখানে মাছের বীজ উৎপাদন করা হয়। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ১,৫০০টি হ্যাচারি রয়েছে, যা দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ৬০% যোগান দেয়। এই হ্যাচারিগুলোকে সফলভাবে পরিচালনা করার পেছনে যারা কাজ করেন, তারা হলেন হ্যাচারি