বাংলাদেশের মৎস্য খাতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম – গ্রাস কার্প। চায়না থেকে আমদানি করা এই মাছটি বর্তমানে দেশের মিঠা পানির মাছ চাষে অন্যতম জনপ্রিয় প্রজাতি হিসাবে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম টেনোফ্যারিনগোডন আইডেলা (Ctenopharyngodon idella) সহ পরিচিত এই মাছটি, যা কার্প জাতীয় মাছের পরিবারের অন্তর্গত, আমাদের দেশের মৎস্য চাষীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। গ্রাস কার্প মূলত একটি
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের মোট জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান প্রায় ৩.৫%, যা কৃষি জিডিপির প্রায় ২৫.৩% এবং রপ্তানি আয়ের ১.৩৫% (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০২৩)। আমাদের দেশের প্রায় ১২ মিলিয়ন মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের সাথে জড়িত। তাই এই খাতের উন্নয়ন আমাদের জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে পুকুর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের দেশে জলবায়ু, মাটি ও পরিবেশ মাছ চাষের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমাদের পূর্বপুরুষরা পুকুর খনন করেছেন এবং মাছ চাষ করেছেন। এই প্রাচীন প্রথা যুগের সাথে সাথে বিকশিত হয়েছে এবং আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্যে অনেক উন্নত হয়েছে। একটি আদর্শ পুকুর শুধু মাছ উৎপাদনের
বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে জলজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছ আহরণের পরিমাণ সীমিত হওয়ার কারণে, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ চাষ করা এখন সময়ের দাবি। এই প্রেক্ষাপটে, একুয়াকালচার এবং ম্যারিকালচার – এই দুই ধরনের জলজ চাষ পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং টেকসই
বর্তমান বিশ্বে জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারম্পরিক কৃষি ব্যবস্থা যেখানে চাপের মুখে পড়ছে, সেখানে একুয়াকালচার একটি প্রতিশ্রুতিশীল বিকল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে নদী, খাল, বিল এবং হাওরের প্রাচুর্য রয়েছে, একুয়াকালচার শুধু জলজ প্রাণী উৎপাদনই নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পুষ্টি চাহিদা
একুরিয়াম রাখা শুধু একটি শখ নয়, এটি একটি জীবন্ত বাস্তুতন্ত্রের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব। প্রতিটি মাছ, উদ্ভিদ, এবং অণুজীব একুরিয়ামের পানির গুণমানের উপর নির্ভরশীল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৬০% নতুন অ্যাকুয়ারিয়াম মালিকরা প্রথম বছরে পানির গুণমান সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হন, যার ফলে মাছের মৃত্যুহার বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত পরিচর্যা ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে একুরিয়ামের
বাঙালি রন্ধনশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন হল ‘ভেটকি মাছের ভাপা’। সমুদ্র এবং নদীর সঙ্গমস্থলে বসবাসকারী এই মাছ সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। বাংলার রন্ধনশৈলীতে ভাপা খাবারের এক বিশেষ স্থান রয়েছে, যা খাবারের পুষ্টিগুণ সংরক্ষণের সাথে সাথে এর স্বাদকেও বজায় রাখে। বাঙালি খাবারের ভান্ডারে ভেটকি মাছের ভাপা এক অপরিহার্য পদ, যা উৎসব হোক বা দৈনন্দিন জীবন, সর্বত্রই
বাংলার খাদ্য সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন হল মাছের পাতুরি। কলাপাতা বা কচুপাতায় মাছ মশলা দিয়ে মুড়িয়ে স্টিম বা আগুনে সেদ্ধ করে তৈরি এই খাবারটি বাঙালির জিহ্বায় অতুলনীয় স্বাদের অনুভূতি জাগায়। বাংলার বিভিন্ন মাছের মধ্যে ভেটকি মাছের পাতুরি এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। মৃদু গন্ধযুক্ত সরিষা, নারকেল কুচি, সবুজ লঙ্কা আর কাঁচা হলুদের মিশেলে ভেটকি
বাংলাদেশীদের খাদ্য তালিকায় মাছের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং দৈনন্দিন জীবনে মাছের প্রভাব অত্যন্ত গভীর। বঙ্গোপসাগর এবং দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়ে প্রায় ৮০০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, যা আমাদের প্রোটিনের একটি প্রধান উৎস। এই বিপুল সংখ্যক মাছের মধ্যে ভেটকি এবং কোরাল অন্যতম জনপ্রিয় দুটি প্রজাতি। অনেকেই প্রশ্ন করেন,
বাংলাদেশের জলরাশি এবং খাদ্য সংস্কৃতিতে ‘ইলিশ’ একটি অপরিহার্য নাম। বাঙালির আবেগ, ঐতিহ্য, এবং জাতীয় পরিচয়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই রূপালি মাছটি শুধু একটি খাদ্যই নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতি ও অর্থনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ বাংলাদেশের নদ-নদী এবং সমুদ্রের জলে বিচরণকারী এই সোনালি-রূপালি মাছটি বিশ্বের অন্যতম সুস্বাদু মাছ হিসেবে পরিচিত। বাঙালির রন্ধনশৈলী, সাহিত্য, গান,