বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিল এবং হাওরে সহজেই পাওয়া যায় মিরকা বা মৃগেল মাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Cirrhinus cirrhosus)। এই মাছটি কার্প জাতীয় মিঠা পানির মাছ হিসেবে পরিচিত এবং বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, পাকিস্তান এবং মিয়ানমারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই এই মাছটি আমাদের খাদ্য তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে আছে। মিরকা মাছের স্বাদ অতুলনীয় এবং এর
গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল সময়। এই সময়ে খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টি মায়ের স্বাস্থ্য এবং ভ্রূণের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মিঠা পানির বিভিন্ন মাছের মধ্যে শিং মাছ (Stinging Catfish বা Heteropneustes fossilis) একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর মাছ, যা বিশেষত গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনেক উপকারী। আমাদের দেশের পুকুর, বিল, হাওর ও
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ (হিলসা)। এটি শুধু একটি সাধারণ মাছ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইলিশের সুস্বাদু মাংস এবং অনন্য স্বাদের কারণে এটি বাঙালি খাদ্যতালিকার মুকুটমণি হিসেবে বিবেচিত। তবে গর্ভাবস্থায় যখন একজন নারীর খাদ্যাভ্যাস এবং পুষ্টির প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন, তখন ইলিশ মাছ খাওয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও দ্বিধা দেখা দেয়।
সাগরের গভীরে বিচরণকারী বিশালকায় প্রাণী তিমি মাছ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণীদের একটি হলো এই তিমি। বহু শতাব্দী ধরে মানুষ তিমিকে নিয়ে বিস্মিত হয়েছে, তাদের জীবনযাপন, আচরণ, বংশবৃদ্ধি এবং সামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে গবেষণা করেছে। কিন্তু, এখনও অনেক রহস্য রয়ে গেছে যা আমরা এই মহাকায় প্রাণী সম্পর্কে জানি না। তিমি মাছ আসলে মাছ নয়, এগুলো স্তন্যপায়ী প্রাণী।
গভীর নীল সমুদ্রের অতলে যখন এক বিশাল ছায়ামূর্তি পাখনা মেলে সন্তর্পণে এগিয়ে চলে, তখন সমুদ্রের সব জীবজন্তু যেন থমকে দাঁড়ায়। সমুদ্রের এই রাজা – নীল তিমি (Blue Whale) – পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী হিসেবে শুধু নয়, বরং এর অসাধারণ বৈশিষ্ট্য এবং রহস্যময় জীবনযাপন পদ্ধতি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাঝে রয়েছে অফুরন্ত আগ্রহ। বৈজ্ঞানিক নাম Balaenoptera musculus দিয়ে
আমাদের চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশে হাজার হাজার প্রজাতির মাছ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু মাছ আমাদের কাছে পরিচিত, আবার কিছু মাছ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা তেমন জানি না। বিশেষ করে যখন ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোন প্রাণী হালাল কি হারাম – এ প্রশ্ন উঠে আসে, তখন মুসলমানদের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। পিরানহা মাছ, যা দক্ষিণ
রূপচাঁদা মাছ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় সামুদ্রিক মাছ। এর রূপালি আভা, সুস্বাদু মাংস এবং উচ্চ পুষ্টিগুণের কারণে এটি অনেকের কাছে পছন্দের মাছ হিসেবে পরিচিত। বাজারে এর চাহিদা এবং দাম দুটোই বেশি। বিশেষ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে দৈনন্দিন খাবার, সর্বত্রই রূপচাঁদার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু আমরা কি জানি রূপচাঁদা মাছ খাওয়ার পিছনে লুকিয়ে থাকা
মাছের মাথা – অমূল্য পুষ্টির উৎস আমাদের বাংলাদেশী খাদ্যতালিকায় মাছ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিদিনের খাবারে মাছের উপস্থিতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। মাছ পুষ্টিকর প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের উৎকৃষ্ট উৎস। তবে অনেকেই মাছের মাথা খেতে পছন্দ করেন না বা ফেলে দেন। এটি দুঃখজনক যে, অনেকে জানেন না মাছের মাথায় কী পরিমাণ
বাংলাদেশের জলজ সম্পদের মধ্যে রুই মাছ একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি। এই মিষ্টি পানির মাছটি শুধু আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রধান উপাদান হিসেবেই নয়, বরং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বাঙালি ভোজনে রুই মাছের ঝোল, রুই মাছের কালিয়া, ভাপা রুই ইত্যাদি জনপ্রিয় খাবার। কিন্তু কেবল স্বাদের জন্যই নয়, রুই মাছ এর পুষ্টিগুণের জন্যও বিখ্যাত।
বাংলাদেশ চিংড়ি মাছের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত একটি দেশ। আমাদের দেশের নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় এবং সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে চিংড়ি মাছ পাওয়া যায়। চিংড়ি শুধু আমাদের খাদ্যতালিকারই অংশ নয়, এটি আমাদের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবেও বিবেচিত। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের চিংড়ি রপ্তানি করা হয়, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৪%