আমাদের খাদ্যাভ্যাস আমাদের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে, হালাল (অনুমোদিত) এবং হারাম (নিষিদ্ধ) খাবারের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক খাবার, বিশেষ করে কুচে জাতীয় প্রাণী যেমন লবস্টার, চিংড়ি, কাঁকড়া ইত্যাদির ধর্মীয় বিধান নিয়ে মুসলিম সমাজে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলে আসছে। এই প্রবন্ধে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব – কুচে খাওয়া হারাম
খাদ্যাভ্যাস মানব সভ্যতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মে খাবারের বিষয়ে নানা ধরনের নিয়ম-কানুন রয়েছে। ইসলাম ধর্মে হালাল এবং হারাম খাবারের একটি স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। এর মধ্যে একটি বিতর্কিত বিষয় হল গুইসাপ খাওয়া। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিমদের মধ্যে গুইসাপ খাওয়া নিয়ে ভিন্ন মতামত রয়েছে।
সমুদ্রের অতল গভীরে বসবাসকারী এক রহস্যময় প্রাণী অক্টোপাস। আট হাত বিশিষ্ট এই প্রাণী শুধু তার অদ্ভুত শারীরিক গঠনের জন্যই নয়, বরং তার অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, অভিযোজন ক্ষমতা এবং জটিল আচরণের জন্যও বিখ্যাত। প্রাচীনকাল থেকেই নানা সংস্কৃতিতে অক্টোপাস নিয়ে নানা রকম মিথ ও গল্প প্রচলিত রয়েছে। আজকের এই নিবন্ধে আমরা জানবো অক্টোপাসের জীবনচক্র, শারীরিক গঠন, বাসস্থান, খাদ্যাভ্যাস,
বাংলাদেশের নদীমাতৃক ভূখণ্ডে প্রকৃতি মানুষকে উপহার দিয়েছে বিচিত্র জলজ সম্পদ। এই সমৃদ্ধ জলজ সম্পদের মধ্যে চেউয়া মাছ একটি অতি পরিচিত ও পুষ্টিগুণে ভরপুর মাছ যা বাঙালি খাদ্যাভ্যাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরাজমান। চেউয়া বা সিলেট অঞ্চলে ‘চিয়া মাছ’ নামে পরিচিত এই মাছটি (বৈজ্ঞানিক নাম: Chela cachius) দেশীয় ক্ষুদ্র মাছের একটি উল্লেখযোগ্য প্রজাতি। এর
বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতিতে শুটকি মাছ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি সংস্কৃতিতে শুটকি মাছ রান্না করে খাওয়ার রেওয়াজ চলে আসছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে পাহাড়ি এলাকা পর্যন্ত, সর্বত্রই শুটকি মাছের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। শুটকি হল বিশেষ প্রক্রিয়ায় শুকানো মাছ, যা সংরক্ষণের জন্য লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এই প্রক্রিয়া মাছকে দীর্ঘ সময়
বাংলাদেশের সমৃদ্ধ নদী ও সমুদ্রের অববাহিকা একটি বিস্ময়কর জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থল। এই প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে সামুদ্রিক কাকিলা মাছ (ইংরেজি নাম: Needle Fish বা Garfish, বৈজ্ঞানিক নাম: Xenentodon cancila) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত। এই লম্বা, সরু দেহ ও সূচালো থুতনিবিশিষ্ট মাছটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের জীবিকার অন্যতম উৎস হিসেবে পরিচিত। উপরন্তু, এর অসাধারণ পুষ্টিগুণ এবং
বাংলাদেশ একটি মৎস্য সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিচিত। এখানকার নদী, খাল-বিল, হাওর-বাওড় এবং পুকুর-দিঘিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। এই সমস্ত মাছের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য প্রজাতি হলো কালিবাউস (Labeo calbasu)। কালিবাউস মাছ দেশীয় মাছের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর। বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই মাছের চাষ অত্যন্ত লাভজনক এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৎস্য
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তায় মৎস্য চাষের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ৪৩ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়, যা জাতীয় প্রোটিন চাহিদার প্রায় ৬০% পূরণ করে। মাছ চাষে সাফল্যের একটি প্রধান চাবিকাঠি হল মাছের দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করা। কিন্তু প্রশ্ন হল, মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য কোন উপাদানগুলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? বিজ্ঞান ও গবেষণার
বাংলাদেশের গ্রামীণ দৃশ্যপটে পুকুর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবুজ ধানক্ষেতের মাঝে নীল জলরাশিতে ভরা পুকুর বাঙালির জীবনযাত্রা, অর্থনীতি, পরিবেশ এবং সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। প্রাচীনকাল থেকেই এই অঞ্চলের মানুষের জীবনধারায় পুকুর ছিল জলের প্রধান উৎস, খাদ্য সংগ্রহের স্থান, জীবিকার মাধ্যম এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। নদীমাতৃক বাংলাদেশে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন পুকুর রয়েছে, যা দেশের মোট
বাংলাদেশ একটি নদী বিধৌত দেশ, যেখানে মাছ আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। “মাছে-ভাতে বাঙালি” এই প্রবাদবাক্যটি আমাদের জীবনযাত্রার সাথে মাছের গভীর সম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪৬ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়, যা দেশের মোট প্রোটিন চাহিদার প্রায় ৬০% পূরণ করে। তবে, মাছ একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল খাদ্য, যা